Ad Banner 468x60px

Address and phone number of Marriage Registrar Kazi Offices in Bogura district

Click here to find the address and contact number of different Marriage Registrar and Kazi in Bogura district.

Process and required papers for marriage and divorce registration.

Click here to know about the registration process of marriage and divorce, and which documents are needed to complete the registration process.

Latest information and news about the marriage and divorce registration process.

Click here to get informed about the latest rules, regulations and process of marriage and divorce registration. It is important to know about these things well ahead of finally getting registered.

Match Makers and other professional service providers

See who can help you professionally make match and other arrangements to successfully manage the marriage related affairs and events.

Islamic rules and practices relating to marriage and divorce

In solemnizing marriage or executing divorce Islamic regulations and practices are considered with high important. Get to know about your religious directives in this regard.

Government Laws and Regulations on marriage, divorce etc., and consequence of breach

As of the past and present, Governments have always gave importance on marriage and divorce registration; especially of under the Muslim Family Laws Ordinance. Breach of those laws may sanction heavy penalty. Knowing general information on these Govt. rules may help.

বিয়ের খরচ সীমিত করতে কী করবেন

আমাদের দেশে বিয়ে মানেই আনন্দ উৎসব, গেট টুগেদার ,খাওয়া দাওয়া, গান-বাজনা, মজা করা, নতুন কারো সাথে পরিচয় আরও অনেক কিছু। এই সব কিছুর মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আর একটি জিনিস হচ্ছে বিয়েতে বর কনের কেনাকাটা । তারা বিয়ের আগের দিন, বিয়ে তে এবং রিসেপশনে কি কি পরবে। তার জন্য কেনাকাটা তো করতেই হবে। আমার ছোট ছোট স্কুলে পড়ুয়া কাজিন গুলোকে দেখি এখনি তারা বিয়ে তে কি পড়বে তা নিয়ে বিশাল চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে। তেমনি প্রত্যেকটা মানুষের অনেক দিনের ইচ্ছা থাকে বিয়ে তে তার পছন্দের ডিজাইন আর রঙের পোশাক পরবে, এভাবে সাজবে। সবাই তো আর বিয়ে তে অঢেল টাকা পয়সা খরচ করতে পারে না। তবুও একটু বুঝে শুনে চিন্তা ভাবনা করে চললে নিজের এতদিনের ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব সীমিত অর্থের মধ্যে ও। বিয়েতে সঞ্চয় নিয়ে লিখেছিলাম আগের আর্টিকেল টিতে। তা ‘সীমিত আয়ে বিয়ের খরচে কিছু টিপস’ নামক আর্টিকেল টি পড়লে জানতে পারবেন। এই আর্টিকেলে আমি চেষ্টা করবো চিন্তা ভাবনা এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সীমিত অর্থে বিয়ে তে বর-কনের কেনাকাটায় কিছু টিপস দিতে । চলুন দেখে আসি


১. বর-কনের পছন্দে হোক তাদের কেনাকাটা
সাধারণত আমাদের দেশে ছেলেদের বাড়ি থেকে পাঠানো হয় বিয়ে তে মেয়ের পোশাক সহ বাকি আনুসঙ্গিক জিনিস পত্র। আর মেয়েদের বাড়ি থেকে পাঠানো হয় ছেলের পোশাক এবং আনুসঙ্গিক । অনেক পরিবারে রেওয়াজ থাকে যে তত্ত্ব পাঠানোর আগে কেউ ই দেখতে পারবে না কার জন্য কি কেনা হয়েছে। একটা মানুষ সারাজীবন স্বপ্ন দেখল বিয়ে তে লেহেঙ্গা পড়বে কিন্তু তাকে দেওয়া হল শাড়ি। ছেলে চাইল বিয়েতে পড়বে শেরওয়ানি তাকে দেওয়া হল পাঞ্জাবী । টাকা দিয়ে জিনিস কিনবেন সে জিনিস যদি পছন্দ না হয় তবে তো পুরো কেনাকাটা ই বৃথা । তাই সীমিত অর্থে যারা বিয়ের কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন দুই পরিবার থেকেই কেনাকাটা করার সময় বর-কনে কে সঙ্গে নিয়েই যান।

২. পোশাক হোক সামর্থ্যর মধ্যে
বিয়ের শাড়ি সহ বৌভাত , গায়ে হলুদ এবং অন্যান্য শাড়ীর জন্য হয়তো বরাদ্দ রয়েছে মোট ৫০ হাজার টাকা কিন্তু আপনি গিয়ে হুট করে পছন্দ করে ফেললেন একটি শাড়ী ই ৩০ হাজার টাকা। তাহলে তো হবে না। সাধ হোক সাধ্যর মধ্যেই ।

৩. ভাড়ায় পোশাক
সাধারণত শুধু কাবিনের বিয়ে তে বর কে তার নিজের টাকায় ই পোশাক কিনে বিয়ে করতে যেতে হয়। তাই বলছি যদি আপনি শেরওয়ানি বা পাঞ্জাবী খুব বেশি একটা পরতে না পছন্দ করেন তবে শুধু একদিনের জন্য ভাড়া করতে পারেন পাঞ্জাবী অথবা শেরওয়ানি।

৪. পরিবারের গহনায় বিয়ে হোক
এই মুহূর্তে যদি বিয়েতে বউ কে খুব বেশি স্বর্ণ দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে তবে আপনার পরিবারের স্বর্ণ অর্থাৎ আপনার মা অথবা বড় বোনের গহনা দিয়ে বিয়ে করে ফেলুন। কিন্তু স্বচ্ছতা অবশ্যই রাখবেন সম্পর্কে তাই তাকে আগেই জানিয়ে রাখুন পুরো ব্যাপারটি যে এই স্বর্ণ শুধুই বিয়ের দিনের জন্য তাকে দেওয়া হচ্ছে। তখন আপনাকে এখনই সব স্বর্ণ কিনতে হবে না।

৫. গোল্ড প্লেটেড গহনায় রিসেল ভেল্যু
এখন প্রায় সব বিয়ে তেই বউ দের এই গহনা পরতে দেখা যায়। অবশ্যই রিসেল ভেল্যু দেখে সাধ্যর মধ্যে গোল্ড প্লেটেড গহনা কিনুন।

৬. বিলাসিতা বাদ দিন
যখন দেখছেন আপনার কেনাকাটার জন্য অর্থ সীমিত তখন অযথা বিলাসিতা দেখিয়ে শুধুই দামী জিনিসের প্রতি ঝুঁকে পরবেন না। মনে রাখবেন প্রত্যেকটা জিনিস কেনার সময় যে দামী জিনিস ই সবসময় ভাল হয় না। সাধ্যর কথা ভেবে নিন।

৭. শুধুই প্রয়োজনীয় জিনিস
শুধুই প্রয়োজনীয় জিনিসই কিনুন। আপনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলে যে প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সব কিছুই কিনে ফেলতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। ধরুন কনে একেবারেই ভারী মেকআপ ব্যবহার করে না। তার জন্য কিন্তু বেস মেকআপ এর কিটস কেনা একেবারেই টাকার অপচয়। এরকম অনেক জিনিস আছে। যার জন্য জিনিস কেনা হচ্ছে যদি সে থাকে তবে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা থেকে বিরত থাকা যাবে।

৮. কেনাকাটায় অভিজ্ঞ কেউ
কেনাকাটায় অভিজ্ঞ খুব, এমন একজন মানুষ সাথে নিয়ে যান ।দরদাম করতে সুবিধা হবে আর আপনিও ঠকে আসবেন না বিয়ের বাজার করতে গিয়ে।

৯. পরিচিত দোকান অথবা দোকানীর পরিচিত কেউ
একটি অভিজ্ঞতা বলি। আমার ভাইয়ের বিয়েতে যখন শাড়ী কিনতে গেলাম যে শাড়ী আমাদের কাছে ২০ হাজার চাওয়া হয়েছিল পরের দিন ফাইনালি শাড়ী কিনতে দোকানীর পরিচিত একজন কে নিয়ে যাওয়ায় সে একই শাড়ী আমাদের কাছে চাওয়া হয়েছে ৮ হাজার। তফাৎ টা নিজেই বুঝে গেলেন।

১০. কয়েক দোকান ঘুরে কিনুন
কয়েক দোকান ঘুরে ঘুরে আপনার জিনিস পত্র কিনুন। ঘুরতে থাকুন দাম সম্পর্কে ধারণা হবে। ঘুরতে দেখলে দোকানীও ডাকবে আর একবার দাম বলে ঐ দামে অটুট থাকুন । দামে লাভ হলে আর মিলে গেলে দেখা যাবে আপনাকে দোকানী ঐ দামেই দিয়ে দিবে।

১১. জুতা কিনুন এক জোড়া ই
যেহেতু জুতা শাড়ির আড়ালে থাকায় ঠিকমত দেখাও যায় না তাই জুতা এক জোড়াই কিনুন। টাকার অপচয় করবেন না।

১২. লোক দেখানো বন্ধ করুন
আপনার অমুক বান্ধবির বিয়েতে গায়ে হলুদ, বিয়ে, বৌভাত ছাড়াও ৭-৮খানা শাড়ী দেওয়া হয়েছে; আপনি কেন দুটো পাবেন! লোকে কি বলবে? লোকে যাই বলুক তাদের কথা কানে নিবেন না। আপনার বন্ধুরা তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ব্র্যান্ডেড ঘড়ি পেয়েছে আপনি কেন এই ঘড়ি পেলেন ? তাই বলে কনের বাবার উপর আপনি চাপ দিতে পারেন না শুধুই লোক দেখানোর জন্য। তাই লোক দেখানো বন্ধ করুন।

......... স্মার্ট কম্পেয়ার ডট কম

বিয়েতে বরের পোশাক

বিয়ের সাজ পোশাক নিয়ে সব সময় মেয়েদের আগ্রহ বেশি থাকে এটা আমরা সবাই জানি। তবে যেহেতু মেয়েটার বিয়ে হচ্ছে একজন পুরুষের সাথে তাকে তো হাল ফ্যাশনের সাজ পোশাক থেকে দূরে রাখা যায় না। একটা সময় ছিল যখন বর ও কনের জন্য কি কি পোশাক কেনা হচ্ছে সেটা বিয়ের দিনের আগে কেউ জানতে পারতো না। কিন্তু এখন দৃশ্যপট সম্পুর্ণ ভিন্ন। এখন বড় ও কনে নিজারেই পছন্দ করে ম্যাচিং করে তাদের বিয়ের পোশাক কিনে থাকেন। কনের যেমন বিয়ের জন্য পোশাকের একটা আলাদা আয়োজন থাকে বরের জন্যও এখন ঠিক তেমনটাই চলছে।
বরদের জন্য বলছি কনের মতো আপনার বিয়েও জীবনে একবারই আসবে তাই হেলাফেলা না করে এই দিনটিকে ইনজয় করুন। আর কনের সাথে ধোরে রাখুন সুন্দর কিছু মুহুর্ত, যা পরে হাজার চেষ্টা করে আর ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।


বিয়ের দিন সাধারণত বরের জন্য ভারি কাজের পাঞ্জাবী অথবা শেরেওয়ানি হয়ে থাকে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। তবে ভালো করবেন আপনি যদি কনের পোশাকে সাথে মিল রেখে পছন্দ করেন।
এখন হাল ফ্যাশনে ফ্লোরেন্ট প্রিন্টের বিয়ের পোশাক খুব চলছে। সেক্ষেত্রে  বর, কনে দুজনেই ফ্লোরেন্ট প্রিন্টের বিয়ের পোশাক বাছাই করতে পারেন। তবে পোশাকের কালারের ব্যাপারে নিজের রুচির ছোঁয়া থাকা চাই।
কনের পোশাকের রং যদি লাল বা মেরুন হয়ে থাকে তাহলে আপনি অফ হোয়াইট বা গোল্ডেন কারাল নিতে পারেন।
আর কনের পোশাক যদি অফ হোয়াইট বা গোল্ডেন বা মেরুন হয়ে থাকে তাহলে আপনি মেরুন বা কপার কালার নিতে পারেন।
আপনার যদি পছন্দের কোনো ডিজাইনার থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার ডিজাইনারকে দিয়ে আপনার পছন্দের বিয়ের পোশাকটি তৈরি করে নিতে পারেন।
নিজের সাজে রাজকিয় লুক আনতে চাইলে পাঞ্জাবি বা শেরেওয়ানির সাথে পরতে পারেন মুক্তার মালা।
বিয়েতে যে নিয়ম মেনে লাল বা সাদা পরতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। ভিন্ন কোনো পোশাক বা পাগড়ী দিয়ে আপনি আপনার বিয়েতে হতে পারেন সবার থেকে আলাদা।
শুধু পোশাকের দিকে নিজর দিনেই হবে না। কারণ পোশাকের থেকেও বড় যে জিনিসটা আপনার বড় হিসেবে প্রমাণ করবে সেটা হচ্ছে পাগড়ী। তাই অন্য সব কিছুর সাথে পাগড়ী বাছাইয়ে একটু নজর দিতেই হবে।
........... পরিবতন ডট কম

বিয়ের কার্ড

দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে নিমন্ত্রণের ধরনও বদলে গেছে। আজকাল বিয়ের কার্ডে অনেকেই নিজের পছন্দমতো নিরীক্ষা করতে চান। গতানুগতিক ডিজাইন থেকে বের হয়ে নতুন কিছু যোগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনুষ্ঠানের সঙ্গে থিম মিলিয়ে ডিজাইন হতে পারে নিমন্ত্রণপত্রের। হলুদে রিকশা পেইন্ট, পদ্মফুল, সূর্যমুখী, ময়ূর, প্রজাপতি, রংধনু অথবা অনুষ্ঠানের থিম অনুযায়ী মোটিফ ও নকশা থাকতে পারে। বিয়ের কার্ডে বর-কনের কার্টুন ছবি, বিয়ের পোশাক, যেমন গাউন বা স্যুটের আদলে নকশা করা হচ্ছে। রিকশা পেইন্ট আর্ট অব বাংলাদেশের কর্ণধার ও ডিজাইনার মো. হাবিব বলেন, ‘রিকশা পেইন্ট করা বিয়ের কার্ড বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর-কনের চেহারার আদলে নকশা করা হচ্ছে বিয়ে বা হলুদের কার্ডে।’ পুরানা পল্টনের কার্ডবাজার ঘুরে দেখা গেল, মেহেদি সন্ধ্যা, গায়েহলুদ, বিয়ে, বউভাত—প্রতিটি অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা নিমন্ত্রণপত্র সাজিয়ে রেখেছে কার্ড বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। মেহেদি সন্ধ্যা ও গায়েহলুদের কার্ডে লাল, সবুজ কিংবা হলুদ রঙের ক্লাসিক্যাল

কার্ডের বাহারি কালেকশন রয়েছে। বিয়ে ও বউভাতের জমকালো কার্ডে কাগজ, সিল্ক বা মসলিন কাপড়ের ফিউশন ডিজাইন হচ্ছে। কখনো আবার কাগজের কার্ডের ওপর রিবনের বদলে সিল্কের কাপড় দিয়ে বেঁধে বা বড় আকারের স্টোন বসিয়ে যোগ করা হচ্ছে বাড়তি বৈচিত্র্য। ব্যতিক্রম চাইলে পাবেন কাঠের কার্ড। পাতলা কাঠের ওপর খোদাই করা নকশা নিমন্ত্রণপত্রে ফুটে উঠবে রুচি আর আভিজাত্যের সমন্বয়। নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে মিষ্টিমুখের যোগসূত্র ঘটাতে কিছু বিয়ের কার্ডে একপাশে কিছুটা অংশ খালি রেখে চকোলেট কিংবা ড্রাইফ্রুট বসিয়ে দেওয়া হয়। মনমতো নকশার নিখুঁত নিমন্ত্রণপত্র পেতে হাতে বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে অর্ডার দিন।



.............. দৈনিক কালের কণ্ঠ

কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন


এক দশক আগেও বিয়ের আয়োজনের বেশির ভাগই হত বর-কনের বাড়িতে। কিন্তু সময় বদলে গেছে। বাড়িতে এখন আর আগের মতো খোলা জায়গা নেই বললেই চলে। কিন্তু বাড়ির খোলা জায়গার অভাবে তো আর বিয়ের চাহিদা বন্ধ হয়ে যেতে পারে না; তা-ই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শহরজুড়ে প্রতিটি এলাকায় গড়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার। বিয়ে ছাড়াও নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কমিউনিটি সেন্টারের প্রয়োজতীয়তার কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে কাছাকাছি যে কোনো কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করে ফেলতে পারেন বিয়ের অনুষ্ঠান। খরচাপাতি কিছুটা বেশি হলেও অত্যন্ত গোছালো ও পরিপাটি আয়োজনে সম্পন্ন করতে পারবেন বিয়ের আয়োজন।


আসন সংখ্যা
কমিউনিটি সেন্টারের আসল সুবিধাই হল একসঙ্গে অনেক লোকের আপ্যায়ন করানো। বিয়ের অনুষ্ঠানে তো এটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। ঢাকার কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে একসঙ্গে ১৫০ থেকে ৭০০ লোকের আপ্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। আগত অতিথি সংখ্যা আরও বেশি হলে একাধিক বৈঠকে সম্পন্ন যাবে খাবার পর্ব।
খরচাপাতি
কমিউনিটি সেন্টারের বিয়ের খরচাপাতি গ্রীষ্ম ও শীতকালে ভিন্ন। গ্রীষ্মকালে তুলনামূলক কম আয়োজন হয় বলে খরচও কিছুটা কম থাকে। তবে শীতকালে বেশি আয়োজন হয়, তাই খরচও থাকে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টারের তুলনায় কিছুটা কম খরচ হয় সরকারি কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত এসব কমিউনিটি সেন্টারে সারা দিনের কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করলে খরচ পড়বে ৯ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অর্ধবেলার জন্য খরচ পড়বে ৭ হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে সারা দিনের অনুষ্ঠানের জন্য খরচ করতে হবে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এ খরচ গ্রীষ্মকালের জন্য। শীতকালে খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। অর্ধবেলার অনুষ্ঠানের জন্য খরচ করতে হবে গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কম।
বুকিং পদ্ধতি
এলাকা ভেদে অনুষ্ঠানের এক থেকে তিন মাস আগে থেকেই বুকিং করতে হয় কমিউনিটি সেন্টার। অভিজাত এলাকায় মূলত কমিউনিটি সেন্টার খালি থাকা সাপেক্ষে ভাড়া পাওয়া যাবে। বুকিং করার সময় মূল ভাড়ার ১০ থেকে ৫০ ভাগ পর্যন্ত মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
খাবার প্যাকেজ খরচ
কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে ক্যাটারিং সার্ভিস বা খাবার প্যাকেজ ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কিছু প্যাকেজ কমিউনিটি সেন্টারই অফার করে, ইচ্ছা করলে আবার নিজের চাহিদা মতো নির্ধারণ করাও যায়। এই সার্ভিসে জনপ্রতি সাদা পোলাও, রোস্ট (মুরগি), রেজালা, বোরহানি, ফিরনি, টিকিয়া ও সালাদ; এ সাত পদের জন্য খরচ হবে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। তবে রেজালা যদি খাসির হয়, তবে জনপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে খরচ বেশি হবে। প্যাকেজ প্রতি খাবার আইটেম কম বেশি করলে দামের ক্ষেত্রেও আসবে তারতম্য।
বাবুর্চি ও ওয়েটার
কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানের আকর্ষণীয় পর্বই হল খাওয়া-দাওয়া। এ পর্বকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রয়োজন সেরা বাবুর্চির সেরা রান্না আর দক্ষ ওয়েটারের বিশ্বস্ত হাতের সেবা। রান্না করার জন্য প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারে রয়েছে নিজস্ব বাবুর্চি দল। নিজস্ব চাহিদার উপকরণগুলো সরবারহ করলে তারাই রান্না করে দেবে। রান্নার জন্য দিতে হবে আলাদা পারিশ্রমিক। বিভিন্ন এলাকায় ৫০০ থেকে ৭০০ লোকের রান্নার জন্য লালবাগ, চকবাজার, খিলগাঁও এবং রামপুরা থানাধীন কমিউনিটি সেন্টারের নিজস্ব বাবুর্চিদের জন্য খরচ করতে হবে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। মিরপুর ও পল্লবী এলাকার কিছু কিছু কমিউনিটি সেন্টারে এ খরচটা নির্ধারিত হয় জনপ্রতি।
রান্নার জন্য কমিউনিটি সেন্টারের নিজস্ব বাবুর্চিই ভালো, এ ক্ষেত্রে খরচও কম পড়ে। আর ওয়েটারের জন্যও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কিছু কিছু কমিউনিটি সেন্টার বিনাখরচে ওয়েটারের সেবা দিয়ে থাকে। কোথাও কোথাও আবার ওয়েটারদের জন্য খরচ করতে হবে জনপ্রতি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। সাধারণ ২০০ লোককে খাওয়ানোর জন্য ১০ থেকে ১২ জন ওয়েটারই যথেষ্ট। ৫০০ লোকের জন্য প্রয়োজন পড়বে ১৫ থেকে ২০ জন ওয়েটার। ওয়েটার বাছাইয়ে অবশ্যই প্রশক্ষণপ্রাপ্তদের প্রধান্য দিতে হবে, সেইসঙ্গে খাবার পরিবেশনের সময় নিজেদেরও তদারকি অব্যাহত রাখতে হবে।
ভাড়া করার আগে
কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করার আগে কিছু বিষয় জেনে নিন গুরুত্ব দিয়ে। তার আগে নির্ধারণ করুন নিজেদের চাহিদা। এতে বোঝা যাবে কোন কমিউনিটি সেন্টারটি আপনার জন্য বেশি উপযুক্ত। জেনে নিন ভবনের ফ্লোর সংখ্যা, আসন সংখ্যা, হলরুমের আসন সংখ্যা, নারী-পুরুষের খাবার ব্যবস্থা আলাদা কিনা। জেনে নিন বাবুর্চি ও ওয়েটার সেবার বিষয়টি, বিল পরিশোধ পদ্ধতি। স্পষ্ট ধারণা রাখুন গাড়ি পার্কিং, বিদ্যুৎ সরবারহ ব্যবস্থা এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কেও। খেয়াল রাখুন ওয়াশরুম ও টয়লেট সম্পর্কেও।

বিয়ের খরচ হিসাব

বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য নানান খরচপত্র আগে থেকে মোটামুটি হিসাব করে নিলে অনেক সুবিধা হয়। তাতে খরচের টাকার যোগান এবং বাজেট মাফিক ব্যয় নির্ধারণ করে ঠিকঠাকভাবে এগুনো যায়। বিয়ের বড় খরচের মধ্যে আছে ২০০, ৩০০, ৫০০ লোকের খাওয়ার খরচ। ক্ষেত্র বিশেষে সীমিত পরিসরে ৫০ জন লোকের খাওয়ার খরচের আয়োজন করে থাকেন অনেকে। এছাড়া আনুষাঙ্গিক খরচের মধ্যে রয়েছে বিয়ের গাড়ি সাজানোর খরচ, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া, কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের খরচ, কাজী অফিসে বিয়ের খরচ, বিয়ের শেরওয়ানি দাম, বিয়ের শাড়ি দাম, শেরওয়ানির দাম - অবশ্য শেরওয়ানি ভাড়ায় পাওয়া যায়। বিয়ের কাজী খরচ সম্পর্কে কাজী অফিস থেকে খোঁজখবর নেওয়া যাবে।



এছাড়া, বিয়ের খরচের মধ্যে আছে বিয়ের কার্ড খরচ। কম খরচে বিয়ের বাজার কোথায় করবেন, বিয়ের লেহেঙ্গা শাড়ির দাম, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া কত, কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের খরচ কত- এসব সম্পর্কে তথ্য আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখা ভালো।

বগুড়ায় বিয়ের দেনমোহর ১০১টি বই

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ১০১টি বই দেনমোহরের একটি বিয়ে নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিয়েতে ছেলের বাবা ও মেয়ের মা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ে রেজিস্ট্রির পর সবাইকে মিষ্টি মুখ করানো হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের কাজী জনাব আব্দুল হান্নানের মোকামে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের বর উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের গুয়াডহরী গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে নিখিল নওশাদ; আর কনে সোনাতলা উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের মেয়ে সান্ত্বনা।

গোসাইবাড়ী বাজারে আব্দুল হান্নান কাজীর বাড়িতে যখন বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় তখন দেনমোহর হিসেবে বইয়ের কথা শুনে ছুটে আসেন এলাকার অনেকে। এমন দেনমোহরনার বিয়ে এই প্রথম দেখেছেন বলে তারা জানান।

বর নওশাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১০১টি নীল পদ্ম তুলে দেব। নিজেই চেয়েছে বই। চায়নি কোনো অলঙ্কার। আজ ১০টি বই দিয়েছি; বাকিটা খুঁজে খুঁজে দেব।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা পথ দেখালাম, যৌতুক ছাড়া এবং দেনমোহর বই দিয়েও হতে পারে। আগামী প্রজন্ম এই পথ দেখুক। তবে চিকাশী ইউনিয়নের কাজী কেন বিয়ে পড়াল না এটেই আমার প্রশ্ন।”

এর আগে চিকাশী ইউনিয়নের কাজী হেলালুর রহমানকে কাছে বিয়ে পড়াতে গেলে তিনি দেনমোহর ‘বই হতে পারে না’ জানিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেননি।

হেলালুর রহমানের ভাষ্য, “নগদের ঘরে নাক ফুল, গহনা লেখা আছে – বই লেখা নেই, তাই বিয়ে রেজিস্ট্রি করিনি।”

গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের কাজী আব্দুল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কোনো সম্পত্তি, সম্পূর্ণ দেনমোহর বা উপহার অংশ বিশেষের পরিবর্তে প্রদত্ত হয়েছে কিনা বিয়ে রেজিস্ট্রি ফরমে এমন একটি ঘর আছে। সে অনুযায়ী দেনমোহর বাবদ ১০১টি বই; যার মূল্য ধরা হয়েছে দুই লাখ টাকা। বরের প্রস্তাবে কনে রাজি হয়েছেন।


সূত্র- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

প্রকাশিত : 16 Sept 2022

স্ত্রী সম্পদশালী হলেও কি স্বামীর নিকট থেকে ভরণপোষণ পাবেন?

ভরণপোষণ বলতে ইসলামি আইনে খাদ্য, বস্ত্র এবং আশ্রয় কেই বোঝায়। ভরণপোষণ বা খোরপোষের জন্য স্ত্রী ও নাবালক সন্তানের পক্ষে পারিবারিক আদালতে আবেদন করা হয়। ১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ আমলে আসার আগে ভরণপোষণ এর জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৮ ধারা বিধান অনুযায়ী ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়ের করা হত।


স্বামী যদি সংগত কারণ ব্যতিরেকে স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে অস্বীকার করে তাহলে স্ত্রী তার জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারে। স্ত্রী সর্বাবস্থায় স্বামীর নিকট থেকে ভরণপোষণ পেতে হকদার। স্ত্রী নিজে যতই ধনী হোক না কেন তাতে তার অধিকার খর্ব হয় না। স্বামী যতই গরীব হোক না কেন স্ত্রীর অধিকা বহাল থাকেই। তবে  অবস্থা যদি এমন হয় যে স্ত্রী স্বামীর তুলনায় যথেষ্ট সম্পদশালী এবং তার ভরণপোষণ এর জন্য স্বামীর উপর নির্ভর করতে হয় না তাহলে স্ত্রী স্বামীর নিক্ট থেকে ভরণপোষণ দাবী নাও করতে পারেন। কিন্তু নাবালক সন্তানাদিরর ভরণপোষণ এর দায়িত্ব স্ত্রীর নয়। তাদের ভরণপোষণ এর জন্য পিতা অবশ্যই বাধ্য থাকে (২৭ ডিএলআর ২৭)।


ভরণপোষণ পেতে স্ত্রীর দায়িত্ব 

তবে এতক্ষণ স্ত্রীর যে ভরণপোষণ এর কথা বলা হল তা শর্তহীন নয়। স্ত্রীকে অবশ্যই স্বামীর প্রতি অনুগত থাকতে হবে। সমস্ত বৈধ সময়ে স্ত্রীর নিকট গমণ করার অধিকা স্বামীর জন্য অবাধ, অবারিত রাখতে হবে, তবেই স্ত্রী ভরণপোষণ এর অধিকারিণী হবেন। তবে সংগত কারণ থাকলে স্ত্রী স্বামীর সাথে বসবাস করতে অস্বীকার করতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে ভরণপোষণ এর ডিক্রি পেতে পারেন। স্ত্রী তার আশু দেনমোহর দাবী করলে যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত দেনমোহর পরিশোধ করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রী আলাদা বসবাস করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে পৃথকভাবে বসবাস করলেও স্বামী ভরণপোষণ দিতে বাধ্য থাকবেন। সাধারণ নিয়ম হলো অনিচ্ছুক স্ত্রীকে স্বামী ভরণপোষণ দিতে বাধ্য নয়। সংগত কারণ ব্যতিরেকে স্ত্রী যদি স্বামীর সাথে বসবাস করতে অস্বীকার করে তাহলে স্ত্রীকে অনিচ্ছুক বলা যায়। কোন আইনগত কারণ ব্যতিরেকে কোন স্ত্রী তার স্বামীর সাথে একত্রে বসবাস করতে অস্বীকার করলে কিংবা স্বামীকে পরিত্যাগ করলে কিংবা অন্য যেকোনো ভাবেই হোক স্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে দাম্পত্য কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে স্বামীর নিকট হতে ভরণপোষণ গ্রহণের অধিকারিণী হবেন না এবং সেক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ না দিলে এটা বলা যাবে না যে স্বামী স্ত্রীর প্রতি অবহেলা করেছ বা স্ত্রীর ভরণপোষনে ব্যর্থ হয়েছে। [১৯৪৬ (২২৮) আইসি ১৯৮]


কোন স্ত্রী যদি তার উপর অর্পিত দাম্পত্য কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করে তাহলে স্ত্রী সর্বাবস্থায় স্বামীর নিকট থেকে ভরণপোষণ পেতে হকদার এমনকি স্ত্রী যথেষ্ট সম্পদশালী হলেও এই অধিকার থেকে সে বঞ্চিত হয়না। অপরদিকে এমন পরিস্থিতিতে স্বামী সব সময় স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে বাধ্য এমনকি স্বামী যতই দরিদ্র হোক না কেন।


- লিগাল ভয়স ব্লগ