Ad Banner 468x60px

বিয়ের কার্ড

দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে নিমন্ত্রণের ধরনও বদলে গেছে। আজকাল বিয়ের কার্ডে অনেকেই নিজের পছন্দমতো নিরীক্ষা করতে চান। গতানুগতিক ডিজাইন থেকে বের হয়ে নতুন কিছু যোগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনুষ্ঠানের সঙ্গে থিম মিলিয়ে ডিজাইন হতে পারে নিমন্ত্রণপত্রের। হলুদে রিকশা পেইন্ট, পদ্মফুল, সূর্যমুখী, ময়ূর, প্রজাপতি, রংধনু অথবা অনুষ্ঠানের থিম অনুযায়ী মোটিফ ও নকশা থাকতে পারে। বিয়ের কার্ডে বর-কনের কার্টুন ছবি, বিয়ের পোশাক, যেমন গাউন বা স্যুটের আদলে নকশা করা হচ্ছে। রিকশা পেইন্ট আর্ট অব বাংলাদেশের কর্ণধার ও ডিজাইনার মো. হাবিব বলেন, ‘রিকশা পেইন্ট করা বিয়ের কার্ড বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর-কনের চেহারার আদলে নকশা করা হচ্ছে বিয়ে বা হলুদের কার্ডে।’ পুরানা পল্টনের কার্ডবাজার ঘুরে দেখা গেল, মেহেদি সন্ধ্যা, গায়েহলুদ, বিয়ে, বউভাত—প্রতিটি অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা নিমন্ত্রণপত্র সাজিয়ে রেখেছে কার্ড বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। মেহেদি সন্ধ্যা ও গায়েহলুদের কার্ডে লাল, সবুজ কিংবা হলুদ রঙের ক্লাসিক্যাল

কার্ডের বাহারি কালেকশন রয়েছে। বিয়ে ও বউভাতের জমকালো কার্ডে কাগজ, সিল্ক বা মসলিন কাপড়ের ফিউশন ডিজাইন হচ্ছে। কখনো আবার কাগজের কার্ডের ওপর রিবনের বদলে সিল্কের কাপড় দিয়ে বেঁধে বা বড় আকারের স্টোন বসিয়ে যোগ করা হচ্ছে বাড়তি বৈচিত্র্য। ব্যতিক্রম চাইলে পাবেন কাঠের কার্ড। পাতলা কাঠের ওপর খোদাই করা নকশা নিমন্ত্রণপত্রে ফুটে উঠবে রুচি আর আভিজাত্যের সমন্বয়। নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে মিষ্টিমুখের যোগসূত্র ঘটাতে কিছু বিয়ের কার্ডে একপাশে কিছুটা অংশ খালি রেখে চকোলেট কিংবা ড্রাইফ্রুট বসিয়ে দেওয়া হয়। মনমতো নকশার নিখুঁত নিমন্ত্রণপত্র পেতে হাতে বেশ কিছুদিন সময় নিয়ে অর্ডার দিন।



.............. দৈনিক কালের কণ্ঠ